ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইমরানকে সরাতে ১১ দলীয় জোট

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০
  • ১৩১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানের লাহৌরের কাছে গুজরানওয়ালায় গত শুক্রবার এক লাখের বেশি মানুষ ভিড় করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের ভার্চুয়াল বক্তৃতা শোনার জন্য। ওই দিন ইমরান খানের সরকার এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান কমর বাজওয়াকে তুলোধোনা করেছেন লন্ডনে চিকিৎসাধীন নওয়াজ শরিফ।

গতকাল একই রকম ভিড় দেখা গেছে করাচির জিন্না স্টেডিয়ামে। নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ় এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাবল সেই সভার নেতৃত্ব দেন।

তাদের বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তীব্র আক্রমণ করতে দেখে হাততালি দেয় জনতা। এসব দেখে ইমরানের কপালে ভাঁজ পড়বে বলেই মনে করেছেন কূটনীতিকরা।

মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় আড়াই বছর আগেই প্রবল চাপে ইমরান খান ও তার সরকার। বস্তুত ইমরানকে সরাতে রীতি মতো কোমর বেঁধে নেমেছে পাকিস্তানের ১১টি রাজনৈতিক দল।

নওয়াজ়ের দল পিএমএলএন এবং বিলাবলের দল পিপিপি তো আছেই, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ছোট-বড়-আঞ্চলিক মিলিয়ে আরো নয়টি দল।

তারা সবাই জোট বেঁধে গড়েছেন পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)। গত মাসেই জোটটি তৈরি হয়েছিল। একেকটি শহরে কর্মসূচি করে তারা ইমরান সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে। গতকালের সভা তার মধ্যে অন্যতম। জানুয়ারিতে ইসলামাবাদে বড় জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে।

করাচির সভা থেকে মরিয়ম বলেন, উনি (ইমরান) কাল বলেছেন একটা সভা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আসলে উনি শুক্রবারের ভিড় দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেছেন। দিনের পর দিন উনি দেশবাসীর প্রতি অন্যায় অবিচার করে সেনার পিছনে মুখ লুকোচ্ছেন। এত সাহস তার হয় কী করে যে, তিনি দেশের সেনাবাহিনীকে নিজের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন?

মরিয়ম আরো বলেন, তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নন। বাহিনীর মাথায় বসে যে সব কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরব তারা।

মরিয়ম যে নাম না করে সেনাপ্রধান বাজওয়াকে ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট। গতকালের বক্তৃতার কয়েক ঘণ্টা পরই মরিয়মের স্বামীকে গ্রেপ্তার করে করাচি পুলিশ। টুইটারে মরিয়ম লেখেন, হোটেলের ঘর ভেঙে ঢুকে পুলিশ তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।  প্রতিহিংসার অভিযোগও করেন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া হয় তার স্বামীকে।

সূত্র : আনন্দবাজার

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ইমরানকে সরাতে ১১ দলীয় জোট

আপডেট টাইম : ১১:১৭:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০২০

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাকিস্তানের লাহৌরের কাছে গুজরানওয়ালায় গত শুক্রবার এক লাখের বেশি মানুষ ভিড় করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফের ভার্চুয়াল বক্তৃতা শোনার জন্য। ওই দিন ইমরান খানের সরকার এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান কমর বাজওয়াকে তুলোধোনা করেছেন লন্ডনে চিকিৎসাধীন নওয়াজ শরিফ।

গতকাল একই রকম ভিড় দেখা গেছে করাচির জিন্না স্টেডিয়ামে। নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ় এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাবল সেই সভার নেতৃত্ব দেন।

তাদের বক্তৃতার ছত্রে ছত্রে বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তীব্র আক্রমণ করতে দেখে হাততালি দেয় জনতা। এসব দেখে ইমরানের কপালে ভাঁজ পড়বে বলেই মনে করেছেন কূটনীতিকরা।

মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় আড়াই বছর আগেই প্রবল চাপে ইমরান খান ও তার সরকার। বস্তুত ইমরানকে সরাতে রীতি মতো কোমর বেঁধে নেমেছে পাকিস্তানের ১১টি রাজনৈতিক দল।

নওয়াজ়ের দল পিএমএলএন এবং বিলাবলের দল পিপিপি তো আছেই, তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ছোট-বড়-আঞ্চলিক মিলিয়ে আরো নয়টি দল।

তারা সবাই জোট বেঁধে গড়েছেন পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম)। গত মাসেই জোটটি তৈরি হয়েছিল। একেকটি শহরে কর্মসূচি করে তারা ইমরান সরকারকে আক্রমণ করে চলেছে। গতকালের সভা তার মধ্যে অন্যতম। জানুয়ারিতে ইসলামাবাদে বড় জমায়েতের পরিকল্পনা রয়েছে।

করাচির সভা থেকে মরিয়ম বলেন, উনি (ইমরান) কাল বলেছেন একটা সভা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আসলে উনি শুক্রবারের ভিড় দেখে প্রচণ্ড ভয় পেয়ে গেছেন। দিনের পর দিন উনি দেশবাসীর প্রতি অন্যায় অবিচার করে সেনার পিছনে মুখ লুকোচ্ছেন। এত সাহস তার হয় কী করে যে, তিনি দেশের সেনাবাহিনীকে নিজের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন?

মরিয়ম আরো বলেন, তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নন। বাহিনীর মাথায় বসে যে সব কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে সরব তারা।

মরিয়ম যে নাম না করে সেনাপ্রধান বাজওয়াকে ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট। গতকালের বক্তৃতার কয়েক ঘণ্টা পরই মরিয়মের স্বামীকে গ্রেপ্তার করে করাচি পুলিশ। টুইটারে মরিয়ম লেখেন, হোটেলের ঘর ভেঙে ঢুকে পুলিশ তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে।  প্রতিহিংসার অভিযোগও করেন তিনি। পরে জামিনে ছাড়া হয় তার স্বামীকে।

সূত্র : আনন্দবাজার